পেন্সিল পাবলিকেশনস
শুদ্ধচর্চা, সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ এবং নান্দনিক কিছু সৃষ্টির স্বপ্ন নিয়ে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে সৃষ্টি হয়েছিল ফেসবুকভিত্তিক সাহিত্যচর্চা গ্রুপ ‘পেন্সিল’। এঁদের ক’জন সব্যসাচী লেখিয়ে, কেউ আনকোরা, কেউ-বা শুধুই পাঠক তবু সাহস করে প্রথম কদম রেখেছেন লেখিয়েদের ভূখন্ডে। আলো ছড়ানো, পারস্পরিক সহমর্মিতা, পরিছন্...
Read More
শুদ্ধচর্চা, সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ এবং নান্দনিক কিছু সৃষ্টির স্বপ্ন নিয়ে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে সৃষ্টি হয়েছিল ফেসবুকভিত্তিক সাহিত্যচর্চা গ্রুপ ‘পেন্সিল’। এঁদের ক’জন সব্যসাচী লেখিয়ে, কেউ আনকোরা, কেউ-বা শুধুই পাঠক তবু সাহস করে প্রথম কদম রেখেছেন লেখিয়েদের ভূখন্ডে। আলো ছড়ানো, পারস্পরিক সহমর্মিতা, পরিছন্ন মতবিনিময়ের জন্য লেখিয়ে ও পাঠকদের নিয়ে এগিয়ে চলেছে পেন্সিল। নানা বয়সের, মতাদর্শের, ভিন্নমাত্রা ও রঙের মানুষের সমাবেশ ঘটেছে এখানে। জমাট আড্ডা, গঠনমূলক আলোচনা, সাহিত্যের তর্ক আর হাসি-ঠাট্টায় প্রতিনিয়ত ভরে ওঠে পেন্সিলের দেয়াল। পেন্সিলের লক্ষ্য খুব সাধারণ আর একই সঙ্গে অসাধারণ। লক্ষ্য হলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা ছড়িয়ে দেওয়া। সময়গুলো সৃজনশীল ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলা। পূর্বে কবিতা ও গল্প সংকলন, তরুণ লেখক-কবি অন্বেষণ প্রতিযোগিতা, ই-বুক এবং ছবি প্রদর্শনীর পাশাপাশি অসংখ্য আলো-জাগানিয়া কাজে সাফল্যের ছাপ রেখেছে পেন্সিল। ২০১৮ থেকে ‘পেন্সিল পাবলিকেশনস’-এর পথচলার মাধ্যমে নবীন কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও ছড়াকারদের রচিত সাহিত্য মলাটবন্দি করার উদ্যোগ চলেছে। অনলাইন ও অফলাইন সৃজনশীলতা এবং সাহিত্যচর্চাকে সঠিকভাবে সবখানে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে এগিয়ে চলছে। বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষী সংস্কৃতিকর্মীদের এক বৃহত্তর প্লাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ‘পেন্সিল’। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পেন্সিলের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে তিন লক্ষাধিক। পেন্সিলের এই বিপুল সদস্য চতুর্থ বিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত ‘ভার্চুয়াল’ জগতে পৃথিবীজুড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে এই গ্রুপটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানরূপে ‘পেন্সিল ফাউন্ডেশন’ নামে নিবন্ধিত হয়। নিবন্ধন নম্বর এস-১২৯৬৭/২০১৮। ‘পেন্সিল ফাউন্ডেশন’-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘পেন্সিল পাবলিকেশনস’। প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’-এ পেন্সিল পাবলিকেশনস বাঙালির স্বাধিকার চেতনার প্রথম সোপান ভাষা আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে প্রকাশ করে ৫২টি বই ‘বই বায়ান্ন’ ¯শ্লোগানে। ‘মুজিব বর্ষ, অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০’-এ ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয়ের স্মারকসংখ্যা বিবেচনায় ‘বই চুয়ান্ন’ -শ্লোগানে পেন্সিল থেকে প্রকাশিত হয় ৫৪টি বই। এ ছাড়াও পেন্সিল বছরব্যাপী দেশে-বিদেশে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও মানবিক সহযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। ইতোমধ্যে পেন্সিলের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য ৩টি চিত্র-প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে। এ ছাড়া চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ই-প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। পেন্সিল-এর চারটি বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে আয়োজিত হয় লন্ডন, নিউইয়র্ক, সিডনি, টরোন্টো, মাসকাট, সালালাহ’সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে। ‘পেন্সিল’ পাবলিকেশনস ‘অমর একুশে গ্রš’মেলা ২০২১’ উপলক্ষে ৫৬টি বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেননা, ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে ‘মাতৃভাষা’ হিসেবে বাংলার উল্লেখ করা হয়।
